পটভূমি
 
জাবাল–ই–নূর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (জেডিএস) বাংলাদেশে অবস্থিত একটি নিবন্ধিত, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)। ২০০৪ সালের ৮ জুলাই কুষ্টিয়া জেলার একদল সচেতন ও প্রতিশ্রুতিশীল সমাজকর্মীর উদ্যোগে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই জেডিএস বাংলাদেশের প্রান্তিক, দরিদ্র ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি সকল ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতিসত্তা ও বিশ্বাসের মানুষকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সমতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জেডিএস বিশ্বাস করে, সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমেই একটি ন্যায়সঙ্গত, মানবিক ও মর্যাদাপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
                     
		        
                    
				        রেজিস্ট্রেশন
 
জেডিএস বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত একটি সংস্থা (নিবন্ধন নম্বর: ৩৪৫৮, মেয়াদ শেষ: ১৪ মে ২০৩৫)। এছাড়া, এটি যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্ম নিবন্ধন পরিদপ্তরের আওতায় ১৮৬০ সালের সোসাইটি নিবন্ধন আইনের অধীনে নিবন্ধিত (নিবন্ধন নম্বর: ৩৯১৫(১৭)/০৪, তারিখ: ৮ জুলাই ২০০৪)।
                     
		        
                    
				        ভিশন
 
একটি ন্যায়ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন যেখানে প্রতিটি মানুষ মর্যাদা, আধ্যাত্মিক তৃপ্তি এবং স্থায়ী কল্যাণ নিয়ে বাঁচতে পারে।
                     
		        
                    
				        মিশন
 
শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজকে ক্ষমতায়িত করে ঐক্য, শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের পথ সুগম করা।
                     
		        
                    
				        মূল্যবোধ
- মানবতা: সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও সম্মানের সাথে প্রান্তিক ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর পাশে থাকা।
- আধ্যাত্মিকতা: নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে আত্মতৃপ্তি অর্জন ও অন্যের কল্যাণে নিবেদিত থাকা।
- সমতা: প্রতিটি মানুষের অন্তর্নিহিত মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করা, নির্বিশেষে তার পটভূমি বা অবস্থা।
 
		        
                    
				        নীতিমালা
 
জেডিএস নিম্নোক্ত মূলনীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়:
- সততা: সকল কার্যক্রমে সর্বোচ্চ নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখা।
- উদ্ভাবন: সৃজনশীল ও কার্যকর সমাধান গ্রহণের মাধ্যমে সমস্যা মোকাবেলা।
- স্বচ্ছতা: প্রক্রিয়া, যোগাযোগ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনায় খোলামেলা ও স্পষ্টতা নিশ্চিত করা।
- দায়িত্বশীলতা: ফলাফলের জন্য সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ এবং অংশীজনদের সঙ্গে আস্থা বজায় রাখা।
 
		        
                    
				        লক্ষ্য
 
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১০ লক্ষ প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, যাতে তারা মানসম্মত শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও টেকসই জীবিকার সুযোগ পায়।
                     
		        
                    
				        উদ্দেশ্যসমূহ
 
১) প্রান্তিক যুবদের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ সম্প্রসারণ, যাতে তারা নৈতিক, সক্ষম ও আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে।
২) এতিম ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা, নিরাপদ আশ্রয় ও পরিবারভিত্তিক সহায়তার মাধ্যমে তাদের সামগ্রিক যত্ন ও বিকাশ নিশ্চিত করা।
৩) জরুরি সহায়তা, মৌসুমী সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা ও দুর্যোগ প্রস্তুতির মাধ্যমে দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও সম্প্রদায়ের সহনশীলতা বৃদ্ধি করা।
৪) নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত কল্যাণ বৃদ্ধি করা।
৫) ধর্মভিত্তিক শিক্ষা, নাগরিক সম্পৃক্ততা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক সংহতি ও নৈতিক নাগরিকত্ব বিকাশ ঘটানো।